কী আছে সোহেল তাজের ৩ দাবিতে?
রাকিবুল ইসলাম
তেমন কোনো প্রচার ছিল না, শুধু ফেসবুকে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ। ঘোষণায় তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে পদযাত্রা করবেন। যাবেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন পর্যন্ত। কেউ চাইলে তাঁর সঙ্গে শামিল হতে পারেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর-জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিনটি দাবিতে পদযাত্রার এই ঘোষণা দেন তিনি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১০ এপ্রিল বিকেল ৪টার পর মানিক মিয়া এভিনিউতে অবস্থান নেন সোহেল তাজ। এসময় ব্যানার-ফ্যাস্টুনসহ তার সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন বয়সী কয়েকশ মানুষ। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিছিল নিয়ে গণভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন সোহেল তাজ।
সোহেল তাজের পদযাত্রার সামনে পুলিশি পাহারা ছিল। যাত্রা শুরুর প্রায় ৩০ মিনিট পর পদযাত্রা গণভবনের গেটে এসে পৌঁছায়। সোহেল তাজকে স্বাগত জানাতে গণভবনের গেটে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া। পরে সোহেল তাজকে গণভবনের ভেতরে নিয়ে যান বিপ্লব বড়ুয়া।
গণভবনের ভেতরে মিনিট সাতেক অবস্থানের পর বের হয়ে আসেন সোহেল তাজ। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যদি কোনো ফাঁক থাকে, তাহলে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি সেই ফাঁক পূরণ করার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশকে যদি সোনার বাংলা হিসেবে বিনির্মাণ করতে হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।