এবার বিএনপির টার্গেট দেশের ৪ কোটি তরুণ!
সাদাকালো নিউজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও আন্দোলনের মধ্যেই আটকে আছে বিএনপি। কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই না তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতেও অনড় দলটি। ফলে সরকারকে হটাতে নতুন নতুন কৌশল হাতে নিচ্ছে বিএনপি। এরি অংশ হিসেবে এবার দেশের প্রায় ৪ কোটি তরুণকে টার্গেট করেছে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক এ দলটি।
দেশের তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে নিজেদের আন্দোলনে সক্রিয় করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। বিশেষ করে ২০০৮ সালের পর যারা ভোটার হয়েছেন তাদেরকে সংগঠিত করার টার্গেট নিয়েই মাঠে নেমেছে দলটি। সারাদেশের তরুণ সমাজকে আন্দোলনে সক্রিয় করতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদল এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের ছয়টি বড় শহরে তারুণ্যের সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বিভাগীয় সমাবেশ না হলেও তারুণ্যের এই ছয় সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন মাঠে নেমেছে। এতে বিপুল পরিমাণে তরুণদের সমাবেশ ঘটাতে চায় দলটি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, অতীতে বাংলাদেশের কোনো আন্দোলন তরুণদের অংশগ্রহণ ছাড়া সফল হয়নি। বিশেষ করে যারা ২০০৮ সালের পর ভোটার হয়েছে অথচ তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের পরপর দুটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। সেইসব তরুণ ভোটারদের সংগঠিত করা হবে। তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্যই এই আন্দোলন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী- ১১ই জুন চট্টগ্রাম, ১৭ই জুন বগুড়া, ৭ জুলাই খুলনা, ১৫ই জুলাই বরিশাল, ২২ জুলাই সিলেট ও সর্বশেষ ২৯ জুলাই ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসব সমাবেশ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ ব্যানারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিএনপির অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা বলছেন, সমাবেশগুলোর মূলপ্রতিপাদ্য হবে ‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য সংঘাত হোক’। এই স্লোগানে তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশের প্রচারপত্রেও এ স্লোগান থাকবে। তবে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্দলীয় সরকারের অধীন সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি সামনে আনবে আয়োজক তিন সংগঠন।
এসব সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি তাদের চলমান আন্দোলনে গতি আনতে চায়। তারুণ্যের সমাবেশগুলোতে বিপুল লোক সমাগম করে সারাদেশে আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা তাদের। এরপর শুরু হবে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন। সমমনাদল ও জোটগুলোকে সঙ্গে নিয়ে একমঞ্চ থেকে এক দফার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতারা।
চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে ছয় বড় শহরে তারুণ্যের সমাবেশগুলো সফল করতে বদ্ধপরিকর বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে তারুণ্যের এই ছয় সমাবেশকে আন্দোলনের ক্ষেত্রপ্রস্তুতের অংশ হিসেবে দেখছে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।