বিশ্ব থাইরয়েড দিবস আজ
অবসাদ, বিষণ্ণতা, ভুলে যাওয়ার রোগের নাম ‘থাইরয়েড’। এটি হরমোনজনিত একটি সমস্যা। বিশ্ব থাইরয়েড দিবস আজ।
থাইরয়েড প্রজাপতির ডানার মতো শরীরের একটি গ্রন্থি। যা গলার ষড়যন্ত্রের দুই পাশে থাকে। এ গ্রন্থির রং বাদামি। ঘাড়ের কাছে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসারিত হরমোন শরীরের মেটাবোলিজমকে নিয়ন্ত্রণ ও শরীরের প্রতিটি কোষকে প্রভাবিত করে। এই হরমোন শরীরের শক্তি, পুষ্টি ও অক্সিজেন উৎপাদন করতে সহায়তা করে। এর ব্যতিক্রম হলেই শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই গুরুতর অসুখটি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়েই দিবসটি পালন করা হয়।
থাইরয়েড গ্ল্যান্ডে সমস্যা হলে মৃদু থেকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, ঘাড় নড়াচড়া করলে অথবা কোনো কিছু গিলে খেতে গেলে অস্বস্তি অথবা ব্যথা হয়ে থাকে। সর্দি, হাম অথবা মাম্পসের মতো ভাইরাসজনিত রোগের সময় এ রোগটি দৃশ্যমান হয় বেশি।
থাইরয়েড সমস্যা হলে হৃদস্পন্দন হ্রাস পায়, ঠান্ডায় স্পর্শকাতরতা বাড়ে, হাতে অবশ অবশ অনুভূত হয়ে ঘাড়ের পরিবর্ধন শুরু হয়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, মেয়েদের মাসিকে প্রচুর রক্তপাত হয় এবং চুল ও ত্বকে শুষ্কতা দেখা দেয়।
বিশ্বব্যাপী ৭৫ কোটি মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশে সরকারিভাবে এ দিবসটি উদযাপিত হয় না। তবে বিভিন্ন সংগঠন গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি যথাযথভাবে পালন করে আসছে।
বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি (বিইএস) প্রতিবারের মতো এ বছরও বিশ্ব থাইরয়েড দিবস উদযাপন করছে।
বিইএস দুপুর সাড়ে ১২টায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বল রুমে ‘বৈজ্ঞানিক অধিবেশন’ এবং ‘গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড রোগের চিকিৎসার গাইডলাইন’ প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ দেশবরেণ্য খ্যাতিমান সম্মানিত চিকিৎসকরা উপস্থিত থাকবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি। এদের অর্ধেকের বেশিই জানে না যে তারা থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে।