এখন আমি কীভাবে বাঁচমু? আমার আর কিছুই রইল না
সাদাকালো নিউজ
‘আগুন লাগার খবর পাইয়া বাসা থেকে বের হইয়া মার্কেটে আসতে আসতেই আমার সব শেষ হইয়া গেল। এখন আমি কীভাবে বাঁচমু? আমার আর কিছুই রইল না’,- আর্তনাদ করতে করতে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ব্যবসায়ী ছিয়াম মিয়া। বঙ্গবাজারের আগুনে তার কাপড়ের দোকান পুড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টায় লাগা ভয়াবহ আগুনে ছিয়াম মিয়ার মতো বঙ্গবাজারের অসংখ্য ব্যবসায়ীর স্বপ্ন পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে ঘুরলেই দেখা মিলছে ব্যবসায়ীদের আহাজারির চিত্র।
ছিয়াম মিয়া বলেন, দেশে সবকিছুতেই সিন্ডিকেট। নারায়ণগঞ্জ থেকে গুলিস্তানে আসতে সাড়ে চার শ টাকা ভাড়া চায়। আমার দোকানে আগুন লাগছে, সেটা বলার পরও কেউ এগিয়ে আসেনি। কাউকে না পেয়ে অনেকটুকু দৌড়ে দৌড়েও এসেছি।
এনেক্সকো মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. কালাম বলেন, ভাই সব তো পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিছু বাঁচানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু মানুষের ভিড়ের কারণে পারছি না। এত বড় বড় কাপড়ের বস্তা নিয়ে নামছি, কেউ তো সহায়তা করেই না উল্টো ভিড়ের কারণের সামনে এগোতে পারছি না। এত মানুষের ভিড় না থাকলে আরও দ্রুত মালামাল নিয়ে আসতে পারতাম।
এর আগে, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আর ৬টা ১২ মিনিটে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে নৌ, সেনা ও বিমান বাহিনীসহ ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট কাজ করছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ইতোমধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে তিনজন ফায়ার সার্ভিস সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বঙ্গবাজারে মার্কেটে লাগা আগুন পাশের এনেক্সকো মার্কেটসহ অন্তত চারটি ভবনে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে জানা গেছে, বঙ্গবাজার মার্কেটের দোতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে এতো বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড তাদের পথে নামিয়ে দিয়েছে।