এক দশক পর মিশর-তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন
সাদাকালো নিউজ
বিরোধের শুরু ২০১৩ সালে। মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে মিশর।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সেই বিরোধ মিটলো। মিশর ও তুরস্ক তাদের রাষ্ট্রদূতের নাম ঘোষণা করল। যৌথ ঘোষণায় দুই দেশ বলেছে, তারা স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই দেশের মানুষের স্বার্থে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও আর্থিক সম্পর্ক দ্রুত বাড়বে।
২০১৩ সালে সেই সময়ে মিশরের সেনাপ্রধান আব্দেল ফতাহ এল-সিসি দেশের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। সোই সময় মুরসির শাসন নিয়ে মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
তুরস্ক সে সময় মুরসি ও তার মুসলিম ব্রাদারহুড গ্রুপকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু মিশর তখন এই গ্রুপকে জঙ্গি সংগঠন বলে চিহ্নিত করে।
এরপর মিশর তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। কূটনৈতিক সম্পর্ক চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার পর্যায়ে নামিয়ে আনে। এক বছর পর এল-সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং তারপর থেকে তিনি ওই পদে আছেন। এরপর লিবিয়াতে দুই দেশ বিপক্ষ শিবিরকে সমর্থন করেছিল।
২০২১ থেকে অবস্থার পরিবর্তন হয়। ২০২২ সালে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় এল-সিসি ও এরদোয়ান হাত মেলান। এবার পুরাদস্তুর কূটনৈতিক সম্পর্কও চালু হলো।