কে এই ইন্দোনেশিয়ান তরুণী সিতি নুরানি ?
ভালোবাসা ধর্ম, বর্ণ, জাতি, দূরত্ব কিংবা বাঁধা-বিপত্তি কোনো কিছুতে থেমে থাকে না। ভালোবাসার দৃঢ় মনোবল আর বিশ্বাস সবকিছু জয় করতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রেমের টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসছেন ভিনদেশি তরুণ-তরুণী। এরি ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ান এক তরুণী।
পছন্দের মানুষটিকে কাছে পেতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ছুটে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ার সিতি নুরানি। তিনি ইন্দোনেশিয়ার পারিজাত কুলন থানাধীন কেটরোসনা গ্রামের বাসিন্দা। মালয়েশিয়ার একটি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রেমিক আনোয়ার হোসেন উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের নওজের আলীর ছেলে। ৩০ আগস্ট মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। বিয়েতে দেনমোহর ধরা হয় মাত্র ৫০ হাজার টাকা। জানা গেছে, তিন বছর আগে সিতি নুরানির সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় মালেয়েশিয়া প্রবাসী আনোয়ারের। সেই বন্ধুত্ব থেকে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর সেখানেই তাঁরা বিয়ে করে সংসার শুরু করেন।
চলতি মাসে দেশে এসে বাংলাদেশের নিয়মকানুন মেনে ধুমধাম করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন তাঁরা। ভিনদেশী পুত্রবধূ পেয়ে আনোয়ারের মা আবেগে আপ্লুত। তিনি বলেন, ‘আমার পুত্রবধূ খুবি ভালো, সে আমাকে মা বলে ডাকে। বিদেশি পুত্রবধূর জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
প্রেমিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমাদের দেশ ও কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে আমার কাছ থেকে জেনেছে। আমার পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনে বাংলাদেশে আসে নুরানি। এরপর নতুন করে আবার আমরা বিয়ে করি।’
সিতি নুরানি বলেন, ‘বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়েই বিয়ে করেছি। স্বামীর সঙ্গে সুখে-শান্তিতে ঘর-সংসার শুরু করেছি। সবার কাছে দোয়া চাই। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।’
এদিকে বিদেশি বধূ আসার খবরে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নববধূকে দেখতে আনোয়ারের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। পরিবারটিতে বয়ে যাচ্ছে উৎসবের আমেজ।
কৈজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন জানান, সম্প্রতি তাঁরা বাড়িতে এসেছে। দেশীয় নিয়ম-নীতি মেনে বিয়ে করেছে। বিষয়টি এলাকার মানুষ পজিটিভলি নিয়েছেন। প্রায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তাঁদের দেখতে বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
সাদাকালো নিউজ