
উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে: মির্জা ফখরুল
উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট উচ্চ আদালতে খারিজ করে দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব ভার্চ্যুয়ালি বলেন, বিচার বিভাগের উচ্চ আদালত আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটা হওয়া উচিত সেই ধরনের রায় দিয়েছেন। এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে। এটাতে নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের আরেকটা বিজয় হয়েছে।
নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যেহেতু আদালতে এ বিষয়ে রায় হয়েছে, জনগণের বিজয় হয়েছে সেহেতু সড়ক অবরোধ না রেখে সরে যাবেন। আশা করছি, সরকারের সুমতি হবে, তারা ইশরাককে শপথ দেওয়ার ব্যবস্থা নেবেন।
ইশরাক হোসেনের শপথ নেওয়ার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান রেখে
তিনি বলেন, আশা করব, মন্ত্রণালয় আর কোনো সমস্যা তৈরি না করে দ্রুত ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা এবং পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলবার চেষ্টা করবে।
রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট, এই সংকট দূর করার একটি মাত্র পথ হচ্ছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। এখানে অন্য কথা বলে লাভ নেই। কারণ সংস্কারের যে বিষয়টা আছে সেটা চলমান প্রক্রিয়া।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অতি দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলো যেসব সংস্কারে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো তারা ঘোষণা করবেন। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য করে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করা কিংবা এটা নিয়ে টানাহেঁচড়া করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে। সেই কারণে জনগণের প্রত্যাশা, অতি দ্রুত একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং চলমান যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো যেগুলোতে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আর যেসব সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হবে না সেগুলো সনদের ভেতরে নিয়ে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে রাখবেন।
গত ১৪ মে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিএনপি মহাসচিব ব্যাংকক যান। পরদিন ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।