
ইশরাককে মেয়র ঘোষণার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জের রিটের আদেশ আগামীকাল
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের আদেশ আগামীকাল (বুধবার) দেবে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের শুনানি শেষে আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেন। রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। আর ইশরাক হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।
পেছনের ঘটনা:
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে ওই ফলাফল বাতিল করে গত ২৭ মার্চ বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম।
পরবর্তীতে ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
তবে এখনো ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো হয়নি, কারণ বিষয়টি হাইকোর্টে বিচারাধীন। এরই মধ্যে তাঁর মেয়র ঘোষণার বিরুদ্ধে রিট দায়ের হয়, যা এখন আইনি নিষ্পত্তির মুখে।
ইশরাকের মেয়র হওয়া নিয়ে যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে:
আইনি চ্যালেঞ্জ:
হাইকোর্টে রিটের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করছে তাঁর মেয়র পদে আসীন হওয়া। আদালত রায় স্থগিত করলে তাঁর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
প্রশাসনিক অনিশ্চয়তা:
নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করলেও সরকারিভাবে এখনও শপথ অনুষ্ঠান হয়নি। এই বিলম্ব প্রশাসনিক সিদ্ধান্তহীনতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রাজনৈতিক চাপ:
ইশরাক বিএনপির রাজনীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ মুখ হওয়ায় তাঁকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে দিলে সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক স্বার্থে দ্বিধা থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গভর্নেন্স ও পরিচালনাগত জটিলতা:
যদি বর্তমান মেয়র (তাপস) আপিল করেন বা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়, তবে নগর প্রশাসনের নেতৃত্ব নিয়ে তৈরি হতে পারে দ্বৈত কর্তৃত্ব বা দায়িত্বহীনতা।