ইরাকে সুইডেনের দূতাবাসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
সাদাকালো নিউজ
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এবং নতুন করে কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সুইডিশ দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা দূতাবাস কম্পাউন্ডে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও ঘটে। বিক্ষুব্ধদের সরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জলকামানও ছুড়তে দেখা যায়। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও।
অনলাইনে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে হামলা চালানোর সময় বিক্ষুব্ধরা শিয়া নেতা মুকতাদা আল সদরের সমর্থনে পতাকা বহন করেছেন।
সুইডেন বলছে, দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল ইরাক সরকারেরই।
এদিকে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইরাকি সরকার উপযুক্ত নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে জরুরি তদন্ত পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছে। এ কাজে জড়িতদের চিহ্নিত এবং আইন অনুযায়ী তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।’
সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘দূতাবাসে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় তাদের কর্মীরা নিরাপদে আছেন।’ এক সূত্র আগেই রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছিলেন, হামলার ঘটনায় কর্মীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এর আগে ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুকতদা আল সদর ও সদরপন্থি অন্যান্য মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে বাগদাদের সুইডিশ দূতাবাস ঘিরে জড়ো হতে থাকেন বিক্ষুব্ধরা।
গত ২৮ জুন ইরাকি বংশোদ্ভূত সালওয়ান মোমিকা ঈদুল আজহার দিন স্টকহোমের একটি মসজিদের সামনে পবিত্র কোরআনে আগুন দেন। সুইডিশ কর্তৃপক্ষ বলেছিল, বাকস্বাধীনতার প্রতি সমর্থনের কারণেই তারা মোমিকাকে এ ঘটনা ঘটানোর অনুমতি দিয়েছে।
তবে এ ঘটনাকে স্পষ্টত মুসলিমবিদ্বেষ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানায় বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন, মুসলিম প্রভাবশালী নেতা ও মুসলিম দেশগুলো।