ইভিএম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ জাহাঙ্গীরের মা জায়েদার!
সাদাকালো নিউজ
কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো হয়েছে ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসি ক্যামেরা। রাজধানীর আগারগাঁও থেকে সরাসরি ভোটের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর মহানগরীর কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন টেবিলঘড়ি প্রতীকে অংশ নেয়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। এ সময় তার ছেলে গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গে ছিলেন।
ভোট দেয়া শেষে জায়েদা খাতুন জানান, এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো। সুষ্ঠু ভোট হলে নির্বাচনী ফলাফল যাই হোক না কেন মেনে নেবেন তিনি। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে তার এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন জায়েদা খাতুন।
এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমের ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জায়েদা খাতুন। সঠিক সময়ের মধ্যে ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানান তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৮ জন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় আজ লড়ছেন ৩৩৩ জন প্রার্থী।
৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২হাজার ৭৪৭জন, মহিলা ভোটার ৫লাখ ৮৬হাজার ৬৯৮জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছে ১৮জন। ৪৮০টি ভোট কেন্দ্রে এ ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। ভোটের জন্য ১০ হাজার ৯৭১ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ৩৫১টি কেন্দ্র। আর ১২৯টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৫৭টি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছেন ৭৬ জন, সঙ্গে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও আছেন।
এছাড়াও র্যাবের ৩০টি টিম এবং বিজিবির ২০ প্লাটুন সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও মোবাইল টিম হিসেবে ৫৭টি টিম রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য ১৭ ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন সদস্য রয়েছেন।