জাতীয় দলে কি ফিরতে পারবেন ক্রিকেটার আল আমিন?
শেষ দুই বছরে জাতীয় দলের জার্সিতে কোনো ম্যাচ খেলেননি টাইগার পেসার আল আমিন হোসেন। ফর্মে না থাকলেও এবার এ পেসার হলেন সংবাদ শিরোনাম। তবে খেলার মাঠের কোনো কীর্তির জন্য নয়, সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে!
সম্ভাবনা নিয়ে জাতীয় দলে ডাক পেলেও প্রত্যাশার সিকিভাগও পূরণ করতে পারেননি আল আমিন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে। এমনকি, জাতীয় দলের বাইরেও তাকে নিয়ে বেশ কয়েকবার উঠেছিল এই ধরনের অভিযোগ। তবে এবার দোষ প্রমাণিত হলে ক্রিকেট ক্যারিয়ারি ঝুঁকিতে পড়ে যাবে এই খেলোয়ারের।
আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এটাই প্রথম অভিযোগ। এর আগে জাতীয় দলে থাকাকালীন শুঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি তিনি। জানা যায়, টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমতি না নিয়েই রাতে নির্ধারিত সময়ের পর হোটেলের বাইরে যান আল আমিন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
ওই সময় আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট আকসু তাঁর বিরুদ্ধে ‘সন্দেহজনক’ ব্যক্তির সাথে দেখা করার অভিযোগ তোলে। পরে অবশ্য ওই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু হাতছাড়া হয়ে যায় আল আমিনের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ।
২০১৬ সালে বিপিএল চলাকালে আবারও নিয়ম ভাঙেন আল আমিন। অভিযোগ উঠে, হোটেল রুমে নিয়েছিলেন এক নারী অতিথিকে। পরে বিপিএল গভর্নিং কমিটি তাঁকে আর্থিক জরিমানা করে। এই ঘটনার পর জাতীয় দলে জায়গা হারান আল আমিন।
বিপিএলকাণ্ডের সাড়ে তিন বছর পর আবারও জাতীয় দলে ডাক পান আল আমিন। ভারত সফরের একাদশে জায়গা পান তিনি। কিন্তু করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে থমকে যায় তাঁর দ্বিতীয় দফার জাতীয় দল যাত্রা।
নারী ঘটিত কেলেঙ্কারি কিংবা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে এই রকম অভিযোগ উঠেছিল সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, মোহাম্মদ শহীদ, মোসাদ্দেক হোসেন, সাকিব আল হাসানদের মতো ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেও।
এদিকে স্ত্রী ইসরাত জাহানের করা অভিযোগ সত্যি হলে জাতীয় দলে আর ফেরা হবে না আল আমিনের। দলে ফেরার সুক্ষ্ম সম্ভাবনাটা নিজ হাতেই নষ্ট করলেন এই ক্রিকেটার।
সাদাকালো নিউজ