আরাভ খান সম্পর্কে সাকিবকে আগেই জানিয়েছিলো পুলিশ!
সাদাকালো নিউজ
বিতর্ক যেন সাকিব আল হাসানের নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে এবার তিনি যে বিতর্কে জড়িয়েছেন তাতে বড় বিপদেই হয়তো পড়তে যাচ্ছেন তিনি। ফেরারি আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের স্বর্ণের দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন দেশের এই তারকা ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তড়িঘরি করে রাতেই উড়াল দেন দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে। এরপরি সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হন তিনি।
জানা যায়, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান একজন পুলিশ কর্মকর্তার জীবন নেয়ার ঘটনায় ফেরারি আসামি। ধারণা করা হচ্ছিলো, এ বিষয়ে সুপষ্টভাবে কিছুই জানেন না সাকিব। কিন্তু গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এ বিষয়ে সাকিবকে জানিয়েছিলেন এরপরও দুবাইয়ে পা রেখেছেন ক্রিকেট তারকা।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ডিবি থেকে নিষেধের পরও সাকিবসহ অন্য সেলিব্রেটিরা সেখানে গেছেন। এটা দুঃখজনক ।
এ ঘটনায় প্রয়োজনে সাকিব আল হাসানসহ অন্য তারকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে জানিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, হিরো আলম, সাকিব আল হাসান, নায়িকা দীঘিসহ অন্য তারকারা সেখানে কেন গেছেন সে ব্যাপারে আমরা তথ্য নিচ্ছি। দুবাইয়ে ওই জুয়েলারির দোকানে কাদের বিনিয়োগ রয়েছে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে ১২টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে ইন্টারপোলের সহায়তায় তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এর আগে ১৫ই মার্চ দুবাইয়ে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন সাকিব। তবে উদ্বোধনী মঞ্চে এ তারকা ক্রিকেটার না উঠেই ১০ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে চলে যান। আর এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঞ্চে দর্শক মাতান সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত ব্যক্তি হিরো আলম।
২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান খানের প্রাণ কেড়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। শুধু এখানেই থেমে থাকেনি তারা দেহ গুম করার জন্য আগুন দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয় চেহারা। এরপর গাজীপুরের কালীগঞ্জের একটি জঙ্গলে দেহ ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশের চার্জশিটভুক্ত ৬ নম্বর অভিযুক্ত রবিউল। পরবর্তীতে ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানকার পাসপোর্ট নিয়ে নাম বদলে দুবাইয়ে গিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে সেখানে স্বর্ণের ব্যবসায়ী, বুর্জ আল খালিফা ভবনে ফ্ল্যাট এবং দামি দামি গাড়ির মালিক বনে যান আরাভ খান। কিভাবে এতো তাড়াতাড়ি বিত্তশালী হলেন রবিউল তা নিয়ে এখন দুবাইয়ের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চলছে তোলপাড়। একিসঙ্গে আশ্চর্য হয়েছেন দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও।