যে ৩ শর্তে মুক্তি পাচ্ছেন ক্যাসিনো সম্রাট
রাকিবুল ইসলাম
দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে অবশেষে মুক্ত হতে যাচ্ছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। তবে এজন্য সম্রাটকে মানতে হবে তিনটি শর্ত।
সেগুলো হল- অসুস্থতা বিবেচনা, আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে না যাওয়া এবং প্রতিটি ধার্য তারিখে হাজিরা দেয়া। সম্রাটের আইনজীবী সাংবাদিকদের এই তিন শর্তের কথা জানান।
সম্রাটের জন্ম ফেনীর পরশুরামে। তাঁর বাবা ফয়েজ আহমেদ ছিলেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। বাবার চাকরির সুবাদে ঢাকায় বড় হন সম্রাট।
সম্রাটের বড় ভাই বাদল চৌধুরী ঢাকায় তাঁর ক্যাসিনো ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। ছোট ভাই রাশেদও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সম্রাট থাকতেন রাজধানীর মহাখালীতে। সম্রাটের স্ত্রীর নাম শারমিন চৌধুরী। শারমিনের আগে আরেকটি বিয়ে করেছিলেন তিনি।
৯০ দশকে রাজনীতিতে জড়ান সম্রাট। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঢাকায় দলীয় সমাবেশগুলো সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন তিনি। টাকা ও জনবল সরবরাহের কাজ করতেন সম্রাট।
রাজধানীর জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’বেশ পরিচিত নাম। সম্রাট একজন পেশাদার জুয়াড়ি। প্রতি মাসে অন্তত ১০ দিন সিঙ্গাপুরে যেতেন জুয়া খেলতে।
এর পরই শুদ্ধি অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের জালে ধরা পরে একে একে খালিদ, শামীমসহ যুবলীগ নেতারা।