আগুন নেভাতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন ফায়ার ফাইটাররা
সাদাকালো নিউজ
রাজধানীর বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে প্রাণপণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। রমজান মাস হওয়ায় এর মধ্যে অনেকেই রোজা রেখেছেন। আর রোজে রেখে একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে রোজা ভেঙে ফেলেছেন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আর ৬টা ১২ মিনিটে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট আগুন নেভাতে যোগ দেয়।
জানা গেছে, ভোরে সেহরি খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন সবাই। সকাল হতে না হতেই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সবগুলো ইউনিটে জরুরি সাইরেন বেজে ওঠে। সাইরেন শুনে ঘুমিয়ে থাকা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মুহূর্তেই ইউনিফর্ম পরে গাড়িতে উঠে বসেন। এরপর রাজধানীর বঙ্গবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণে কাজ শুরু করেন। টানা ছয় ঘণ্টার ও বেশি সময় ধরে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। অনেকে রোজা রাখলেও আগুন নেভাতে এসে পানির পিপাসায় কেউ কেউ রোজা ভাঙতে বাধ্য হন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মী নাজমুল ইসলাম বলেন, সেহরি খাওয়া শেষে ঘুমিয়েছিলাম। ৬ টার পর হঠাৎ জরুরি বেলের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। পরে দ্রুত গাড়িতে উঠে চলে আসি বঙ্গবাজারে। প্রায় টানা পাঁচ ঘণ্টা কাজ করে অনেকটা ক্লান্ত। আগুন লাগা ভবনে প্রচুর তাপ থাকায় গলা শুকিয়ে যায়। বাইরে এসে পানি খেয়ে রোজা ভাঙতে বাধ্য হয়েছি।
আব্দুল কাদির নামে আরেক সদস্য বলেন, রোজা রেখে এমন আগুনে কাজ করা খুবই কষ্টসাধ্য। বাধ্য হয়ে রোজা ভাঙতে হয়েছে।
এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- মো. আতিকুর রহমান রাজন (৩৫), মো. রবিউল ইসলাম অন্তর (৩৮) ও মো. মেহেদী হাসান (৩৫)। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিটিউটের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌ, বিমান, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
এদিকে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে জানা গেছে, বঙ্গবাজার মার্কেটের দোতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে এতো বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড তাদের পথে নামিয়ে দিয়েছে।