অসুস্থ খাদ্যমন্ত্রীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়েছে
সাদাকালো নিউজ
সাধন চন্দ্র মজুমদার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ। এছাড়াও তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য তিনি। ১৯৫০ সালের ১৭ই জুলাই জন্মগ্রহণ করেন সাধন চন্দ্র। তার পৈত্রিক বাড়ি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার হাজীনগর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে। তবে শহরের পোস্ট অফিস পাড়ায় সপরিবারের বসবাস করেন।
সাধন চন্দ্রের বাবা প্রয়াত কামিনী কুমার মজুমদার ও মা প্রয়াত সাবিত্রী বালা মজুমদার। চার কন্যা সন্তানের জনক সাধন চন্দ্র। বড় মেয়ে সোমা মজুমদার ও সেজ মেয়ে কাদেরী মজুমদার ব্যাংকার, মেজ মেয়ে কৃষ্ণা মজুমদার পেশায় চিকিৎসক এবং ছোট মেয়ে তৃণা মজমুদার প্রকৌশলী।
অত্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠাবান হিসেবে সাধন চন্দ্রের সুখ্যাতি রয়েছে সর্বত্রই। আপামর সাধারণ মানুষের মাঝেও তিনি পরম শ্রদ্ধার পাত্র। মধ্যবিত্ত পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বাবা ধানের ব্যবসা করতেন। ছাত্রজীবন থেকেই সাধন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
১৯৮৪-৮৮ সালে নিজ জন্মভূমি হাজীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন সাধন চন্দ্র। এরপর ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. ছালেক চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের সাধন চন্দ্র। তবে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই ডা. ছালেক চৌধুরীকেই পরাজিত করে বিজয়ী হন সাধন।
এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ঐক্যফ্রন্টের মোস্তাফিজুর রহমানকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হন তিনি। এরপর খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার বেলা ১২টার দিকে সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়। খাদ্যমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন চিকিৎসকরা। জটিলতাগুলো চিহ্নিত হলে সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট চিকিৎসা দেয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে তার পিত্তথলিতে প্রদাহ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পহেলা মার্চ পোরশায় দলীয় সমাবেশ চলাকালে খাদ্যমন্ত্রী শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেন। ওই দিন থেকে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। পরীক্ষায় খাদ্যমন্ত্রীর পিত্তথলিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
কামাল হোসেন বলেন, চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি ঢাকায় না গিয়ে নওগাঁয় তাঁর নিজ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আজ সকাল থেকে বেশি অসুস্থতা অনুভব করতে থাকেন। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়।