অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে ঐতিহাসিক মুসা খান মসজিদ
রাকিবুল ইসলাম
অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক মুসা খান মসজিদ। ইমাম, মুয়াজ্জিন আর ঝাড়ুদার পদে তিন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও, আছেন মাত্র একজন। একমাত্র ইমাম ছাড়া আর কেউ নেই মসজিটির দায়িত্বে। ফলে ধীরে ধীরে নষ্ট হচ্ছে প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে আসেন মুসল্লিরা। তাঁদের মধ্যে নতুন মুসল্লির সংখ্যা কম। কেননা মসজিদটিতে কোনো তোরণ না থাকায় অনেকেই এ সম্পর্কে জানেন না। যাঁরা মসজিদটি চেনেন কেবল তাঁরাই আসেন। ওজুর জায়গা আর শৌচাগারেরও বেহাল দশা। এ কারণে এখানে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের পড়তে হয় বেকায়দায়।
জানা গেছে, ইতিহাসে বিখ্যাত বারো ভুঁইয়াদের অন্যতম মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর পুত্র মুসা খানের নামে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে ‘মুসা খান মসজিদ’। মুসা খানের সমাধিও রয়েছে মসজিদের পাশেই।
মুসা খান মসজিদটি দেখতে অনেকটা খাজা শাহবাজের মসজিদের মতো। ভূমি থেকে উঁচু মঞ্চের ওপর মসজিদটি নির্মিত। নিচে অর্থাৎ মঞ্চের মতো অংশে আছে ছোট ছোট প্রকোষ্ঠ। এগুলো এখন বন্ধ। দক্ষিণ পাশ দিয়ে ১২ ধাপ সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় মসজিদের দরজায়।
পূর্ব দিকে খোলা বারান্দা। চওড়া দেয়াল। পূর্ব-পশ্চিমের দেয়াল ১ দশমিক ৮১ মিটার ও উত্তর-দক্ষিণের দেয়াল ১ দশমিক ২ মিটার চওড়া। পূর্বের দেয়ালে তিনটি ও উত্তর-দক্ষিণে দুটি খিলান দরজা।