১৩৫ দিনে হাফেজ ৮ বছরের শিশু!
সাদাকালো নিউজ
বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মের প্রতি মমত্ববোধ এবং আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য নিজে যেমন কুরআন তেলাওয়াত শিখেন, তেমনি সন্তানদের শেখান। অনেকে আবার সন্তানদের পবিত্র কোরআনের হাফেজ বানান।
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের আনাচে-কানাচেও রয়েছে লাখ লাখ হাফেজ। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী কুরআনের হাফেজ হন। অবাক করার মতো বিষয় হলো, বিপুল সংখ্যক কুরআনের হাফেজদের নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। কেউ বৃদ্ধ বয়সে, কেউ কিশোর বয়সে, কেউ আবার শিশু অবস্থায় কুরআন মুখস্থ করছেন।
এরি ধারাবাহিকতায় মাত্র ১৩৫ দিনে পুরো কুরআন মুখস্ত করে অনন্য কীর্তি গড়েছেন সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের আশরাফুল ইসলাম। মাত্র ৮ বছর বয়সে এ কীর্তি অর্জন করেছে শিশুটি।
এনায়েতপুর থানার গোপরেখী গ্রামের বাবু হোসেনের ছেলে আশরাফুল। সে এনায়েতপুরের মিফতাহুল উলূম কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী। এতো অল্প বয়সে আশরাফুল হাফেজ হওয়ায় এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আশরাফুলকে উৎসাহ দিতে সংবর্ধনা ও পুরস্কার দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
মিফতাহুল উলূম কওমি মাদরাসা চত্বরে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে গোপরেখী পশ্চিমপাড়া বাইতুন নূর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও মিফতাহুল উলুম কওমি মাদরাসার উদ্যোগে হাফেজ আশরাফুলকে সংবর্ধণা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এত অল্প বয়সে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করা একটা অবাক করার মতো বিষয়। আল্লাহ পাকের রহমত ও বরকত ছাড়া এটা সম্ভব হয়নি। আমরা হাফেজ আশরাফুল ইসলামের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন কবুল করে নেন, বিশ্বব্যাপী তার ব্যাপক সুনাম ছড়িয়ে পড়ুক।
আশরাফুলের এমন সাফল্যে খুশি তার শিক্ষকরাও। তারা বলেন, হিফজ শুরুর পর আশরাফুলের মধ্যে ভিন্ন প্রতিভা দেখা যায়। সে খুবি ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির ছেলে। চার মাসের একটু বেশি সময় নিয়ে পুরো কুরআন মুখস্ত করেছে সে।
সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, নুরানি ও নাজেরা শাখায় পড়াশোনা শেষ করতে প্রায় তিন বছর সময় লাগে। সেখানে আশরাফুলের সময় লেগেছে মাত্র ১৩৫ দিন। আশরাফুলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি।