নাদিয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসের চালক-সহকারী
সাদাকালো নিউজ
একজনের নাম মো. লিটন অন্যজন আবুল খায়ের। তাদের পেশা যাত্রীবাহী বাস চালানো। লিটনের বাড়ি ভোলা জেলার ইলিশা ইউনিয়নে। তার বাবার নাম কালু মিয়া। অন্যদিকে একি জেলার বিদুরিয়া এলাকার হাসেম ঘরামির ছেলে আবুল খায়ের।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানী বাড্ডার আনন্দনগর সার্জেন্ট টাওয়ার এলাকা থেকে এই দুজনকে ধরে পুলিশ। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ভাটারা থানার ওসি এবিএম আসাদুজ্জামান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাদিয়ার ঘটনায় তাদের ধরা হয়েছে।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বেসরকারি নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন নাদিয়া। উত্তরা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বপ্ন দেখতেন উচ্চশিক্ষা শেষে পরিবারের হাল ধরবেন। কিন্তু তার আগে অকালেই ঝরে গেলেন সড়কে।
জানা যায়, নাদিয়ার বাবার নাম জাহাঙ্গীর আলম। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে। তবে দীর্ঘদিন ধরে নাদিয়ার পরিবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাষাড়াতে বসবাস করে আসছেন।
২২ জানুয়ারি এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণী এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন নাদিয়া। দুপুর পৌনে একটায় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহন নামে একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই পরপারে পাড়ি দেন নাদিয়া। তবে রক্ষা পান তার মোটরসাইকেল চালক বন্ধু।
ঘটনাস্থল থেকে নাদিয়ার দেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর রাতেই নাদিয়ার দেহ নিয়ে চলে যায় স্বজনরা। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন গাড়িটির চালক ও সহকারী।
এদিকে নাদিয়ার ঘটনার সংবাদ শোনার পর এদিন বিকেলে বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির কয়েকশ শিক্ষার্থী। অবরোধের কারণে বিমানবন্দর সড়ক এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা নাদিয়ার ঘটনায় জড়িত বাসচালকের শাস্তি এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আহাদ জানান, নাদিয়ার বাবার করা মোকদ্দমার পর রাতেই সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর বাসের চালক ও হেলপারকে শনাক্ত করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়েছে।