ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি হলে, কে হবেন সাধারণ সম্পাদক ?
সাদাকালো নিউজ
পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন? কাকে দেখা যাবে বঙ্গভবনে? এ নিয়ে তুমুল আলোচনা, রাজনৈতিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এটি এখন প্রধান আলোচ্য বিষয়। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি পদে বসার জন্য আওয়ামী লীগের বেশকিছু হেভিওয়েট নেতার নাম শোনা গেলেও দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম বারবার উচ্চারিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, ওবায়দুল কাদের যদি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ওবায়দুল কাদের যদি রাষ্ট্রপতি হন তাহলে কে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে? ইতোমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
ওবায়দুল কাদের যদি রাষ্ট্রপতি হন তাহলে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে এক নম্বর যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদকের তার পদে বসার কথা। সেই হিসাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে পারেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সদ্যগঠিত কমিটির তিনিই এক নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে হাছান মাহমুদকে এক নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করার কারণই হচ্ছে, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দায়িত্ব থেকে সরলে বা রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হলে তখন যেন সেই দায়িত্ব হাছান মাহমুদ পান।
এমন বক্তব্যের যৌক্তিকতাও আছে গঠনতন্ত্রে। কিছুদিন আগে ওবায়দুল কাদের যখন অসুস্থ ছিলেন এবং চিকিৎসার জন্য তাকে বেশ কয়েক মাস সিঙ্গাপুরে থাকতে হয়েছিল, তখন এক নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তবে নতুন কমিটিতে হানিফ এবার দুই নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তাকে নিয়েও জল্পনা আছে। ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি হলে তার দায়িত্বে থাকা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পদও খালি হবে। সেই হিসাবে রদবদল আসতে পারে মন্ত্রিসভাতেও। দেখা যেতে পারে নতুন কোনো মুখ। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি ক্ষমতাসীন দলটির একাধিক নেতা।
সংসদীয় গণতন্ত্রে জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যাকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করবে, তিনিই সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বঙ্গভবনে যাবেন।
দলটির নেতারা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে কোনো সংকট তৈরি হলে সাহসিকতা, দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে যিনি সংকট থেকে উত্তরণে অবস্থান নিতে পারবেন, তেমন কেউ রাষ্ট্রপ্রধানের পদে বসবেন। এ সমস্ত কিছু বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।