আরাভ খানকে কিভাবে দেশে ফেরাবে পুলিশ?
সাদাকালো নিউজ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার যুবক রবিউল ইসলাম। নিজের নাম, জাতীয়তাসহ সব পাল্টে আরাভ খান নামে জোগাড় করেন ভারতীয় পাসপোর্ট। সেই পাসপোর্টেই ঘাটি গাড়েন সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাইয়ে। ধীরে ধীরে সেখানকার বাংলাদেশি প্রবাসীদের কাছে তিনি হয়ে উঠেন আলাদীনের চেরাগ।
বেশ কয়েক দিনের আলোচনা-সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় নাম এসেছে দুবাইয়ের এই আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। ২৩ মার্চ রাতে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় ছবিসহ রবিউল ইসলামের নাম পাওয়া গেছে। তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি তিনি।
এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ইন্টারপোল সেই চিঠি গ্রহণও করেছে। এরপর ২৩ মার্চ রাতে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে রবিউলের নাম আসে।
ইন্টারপোলের তালিকায় ১৩তম অবস্থানে রয়েছে আরাভ খান। বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ৩৫। জন্মস্থান বাংলাদেশের বাগেরহাটে দেখানো হয়েছে। আর বাংলাদেশিদের তালিকায় তাকে প্রথম অবস্থানে রাখা হয়েছে।
এদিকে ইন্টারপোলে নাম আসার আগে থেকে অন্তরালে চলে গেছেন আরাভ খান। সর্বশেষ পাঁচ দিন আগে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি নিরুদ্দেশ হন। তিনি দুবাই আছেন নাকি দুবাই ছেড়ে গেছেন, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো ধরনের সঠিক তথ্য দিতে পারেননি।
তবে অনেকেই ধারণা করছেন, ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আগেই এক রকম গা ঢাকা দিয়েছেন আরাভ খান। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, তিনি পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন। তাঁর সেই স্বর্ণের দোকানও বন্ধ রয়েছে।
আরাভ ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই বসবাস করলেও রেড নোটিসে তার গ্রামের বাড়ি বাঘেরহাট দেয়া। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের পাসপোর্টের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের। কাজেই ভারতের পাসপোর্ট বাতিল করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি না সেটি নিয়ে ওই মন্ত্রণালয় কাজ করবে।
ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় আরও ৬২ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। তারা সবাই এখনও অধরা। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে, আরাভকে কি গর্ত থেকে বের করতে পারবে ইন্টারপোল? ধরা পড়লে কি বাংলাদেশে ফেরত আনা যাবে তাকে।