আরাভের অনুষ্ঠানে কেন দেখা যায়নি দীঘিকে?
সাদাকালো নিউজ
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। শিশুশিল্পী হিসেবে দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। সেই দীঘি এখন পুরোদস্তুর নায়িকা। এরি মধ্যে বড় পর্দায় তার নায়িকাযাত্রা হয়ে গেছে। তবে বিভিন্ন সময় নানা কারণে আলোচনায় থাকেন এই নায়িকা। এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথি হয়ে।
জানা গেছে, পুলিশ মারার ঘটনার আসামি আরাভ খানের আমন্ত্রণে জুয়েলার্স দোকানের উদ্বোধনী আয়োজনে অংশ নেয়ার জন্য দুবাইয়ে যান দীঘি। তবে সেখানে গেলেও জুয়েলার্সের উদ্বোধনী আয়োজনে দেখা মিলেনি তরুণ এ অভিনেত্রীর।
১৫ মার্চ স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে আরাভ জুয়েলার্সে যান দেশের তারকা ক্রিকেট খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান, অভিনেত্রী দীঘি, কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ও উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাসসহ অনেকে। এ সময় মঞ্চে গান পরিবেশনা করেন হিরো আলম। কিন্তু এই আয়োজনে কেন দেখা যায়নি দীঘিকে? এ বিষয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন দীঘি।
তরুণ এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোনো পরিবেশনার কথা ছিল না তার। শুধুমাত্র যোগ দেয়ার কথা ছিল। তবে বের হতে হতে অনেক দেরি হয়ে যায় তার। এরপর রাস্তায় যানজটে পরে আরও দেরি হয়ে যায়। এরপর সেখানে গিয়ে দেখেন প্রচণ্ড ভিড়। ভেতরে প্রবেশ করাও ছিলো অনেকটা ঝুঁকির। তাই আর সেখানে যোগ দেননি তিনি।
তবে সেই অনুষ্ঠানে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সাথে দেখা হয়েছে দীঘির। সাকিবের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন চিত্রনায়িকা। ছবিটি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট না করলেও প্রার্থনা দীঘি নামের একটি পেইজে পোস্ট করা হয়েছে। যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পরে নেটদুনিয়ায়।
এদিকে আরাভ জুয়েলার্সের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারলেও শারজায় থাকা আরেকটি অনুষ্ঠানে যান দীঘি। এর আগে এক ভিডিও বার্তায় নায়িকা জানান, আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন। সবাইকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন এই চিত্রনায়িকা।
১৫ই মার্চ সেই স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনীর দিনে দেশের সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, এই আরাভ খানই মূলত পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে শেষ করে দেয়ার ঘটনায় পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। এই খবর প্রকাশের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৮ সালে পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খানের প্রাণ কেড়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। সেই ঘটনায় চার্জশিটভুক্ত ৬ নম্বর অভিযুক্ত রবিউল। এরপর পালিয়ে ভারতে চলে যান সেখানে বিয়ে করেন। পরে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। সেই পাসপোর্ট দিয়েই পাড়ি জমান দুবাইয়ে। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী।