আরাভকে খুঁজছে দুবাই পুলিশ!
সাদাকালো নিউজ
দুবাইয়ের বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে খোঁজা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরাতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। একজন পুলিশকে শেষ করে দেয়ার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে রেড নোটিশ গ্রহণ করেছে ইন্টারপোল। এর মধ্যে দুবাই পুলিশও তাঁকে খোঁজা শুরু করেছে।
এদিকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধরা পড়া এড়াতে আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম দুবাইও ছেড়েছেন। কারণ আরাভ খান নাম ব্যবহার করে নেয়া তার ভারতীয় পাসপোর্টে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ভিসা রয়েছে। এমনকি দুই দিন ধরে তিনি ফেসবুক লাইভেও আসছেন না। ম্যাসাঞ্জারে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।
২০ মার্চ চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক কোনো কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত সময়ে আমরা তা আপনাদের জানাব।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনার মোকদ্দমায় যে নামে চার্জশিট হয়েছে, সেই নামে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। খবর এসেছে, ইন্টারপোল এটি গ্রহণ করেছে। এখন বাকি কাজ তারা করবে। নোটিশ অবশ্য ‘আরাভ খান’ নামে হবে না। রবিউল ইসলাম নামে নোটিশ জারি করতেই পাঠানো হয়েছে চিঠি।
এদিকে আরাভ খান তাঁর ফেসবুক লাইভে নানা কাহিনি প্রচার করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, সাংবাদিকরা আমাকে বিপদে ফেলছেন। আমি অপরাধী কিনা- এটা আদালত দেখবে। দেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। এটাই আমার শেষ ইচ্ছা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, আরাভ এখনও দুবাইয়ে রয়েছেন। তার গতিবিধির ওপর নজর রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে শঙ্কা করা হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ভিসা থাকায় দুবাই ছেড়ে যে কোনো দেশে পালাতে পারেন আরাভ।
পুলিশের ভাষ্য, আরাভ ওরফে রবিউল ইসলামের নামে এখনও বাংলাদেশি কোনো পাসপোর্ট পাওয়া যায়নি। এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে এসেছেন এমন তথ্যও পুলিশের কাছে নেই। ধারণা করা হচ্ছে- অন্য কোনো নামের পাসপোর্ট ব্যবহার করে সে বাংলাদেশে এসে থাকতে পারে।
ফেরারি রবিউল ওরফে আরাভ খানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মতিউর রহমান মোল্লা। আর ভারতের পাসপোর্টে তার ঠিকানা পশ্চিমবঙ্গের নরেন্দ্রপুর গ্রামে। বিয়ে করেছেন আসামের নাগরিক সাজেমা নাসরিনকে। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে দুবাইয়ে স্বর্ণের ব্যবসা, বুর্জ আল খালিফা ভবনে ফ্ল্যাট এবং দামি দামি গাড়ির মালিক হয়েছেন আরাভ খান।