অবশেষে জামিন পেলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী!
সাদাকালো নিউজ
ভবিষ্যতে কোনো ওয়াজ মাহফিলে সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বক্তব্য দেবেন না, এই শর্তে ঢাকা ও গাজীপুরের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মোকদ্দমায় শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে মাদানীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
এদিন শুনানি শেষে এক আদেশে হাইকোর্ট বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মোকদ্দমা, তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চার্জশিট এবং এজাহার যাচাই-বাছাই করে আমরা তাকে জামিন দিতে একমত নই। তবে রফিকুল ইসলাম মাদানী যদি কোনো ওয়াজ মাহফিল বা সভায় রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন বিরোধী এমন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার হলফনামা আকারে মুচলেকা দেন, তাহলে আমরা তার জামিন বিবেচনা করতে পারি।
গত বছরের ২৭ জুন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হলফনামা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে যায়। সম্প্রতি কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে রফিকুল ইসলাম মাদানী হলফনামায় স্বাক্ষর করেন।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম মাদানীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা বলেন, মাদানীর মুচলেকা সম্বলিত আবেদন খুব তাড়াতাড়ি হাইকোর্টে দাখিল করা হবে। সেখানে তার সব মোকদ্দমায় জামিন প্রার্থনা করা হবে। আশা করি তিনি কারামুক্ত হবেন।
২০২১ সালের ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
ওই বছরের ৮ এপ্রিল ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর নামে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মোকদ্দমা দায়ের করা হয়। এরপর গাজীপুরের বাসন এবং রাজধানীর মতিঝিল ও তেজগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মোকদ্দমা হয়।
মোকদ্দমায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। চারটি মোকদ্দমায় এই অভিযোগ আনা হয়।