সেই ফাহমিদার অন্তিম যাত্রায় লাখো মানুষের ঢল
নাফিজা আক্তার
দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে ভালোবাসার অনন্য গল্প বলে যাওয়া ফাহমিদা কামাল চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। গেল সোমবার চট্টগ্রামের দক্ষিণ বাকলিয়ার চর চাক্তাই এলাকায় তাকে শায়িত করা হয়েছে। এর আগে ওই এলাকার নয়া মসজিদে ফাহমিদা কামালের শেষ যাত্রায় ঢল নামে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের।
চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ফাহমিদা কামাল। নাকে অক্সিজেনের নল, পরনে বিয়ের লাল বেনারসি, পাশে বর-এমন ছবিতে কোটি মানুষের চোখে জল আনা ফাহমিদার গল্পটা অসমাপ্তই রয়ে গেল।
অশ্রুসজল চোখে দেশের একটি গণমাধ্যমকে ফাহমিদার ভাই জুনায়েদ কামাল বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বোনটা আমার কী অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করল। দেশের হাসপাতাল থেকে ভারত, আবার দেশে ফিরিয়ে আনা, আমি আমার বোন থেকে একটু দূরে থাকতে পারতাম না। আজকে আমার বোনটা আমাকে ছেড়ে কত দূরে চলে গেলো। আর তো তাকে দেখতে পাব না। কী করে থাকব?’
ফাহমিদাকে শায়িত করার সার্বিক প্রস্তুতি দেখভাল করেছেন স্বামী মাহমুদুল হাসান। একটু দূরে দাঁড়িয়ে মেয়ের অন্তিমযাত্রার শেষ অঙ্কটা দেখেছেন বাবা এসএম কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সেদিন রাতেও মেয়েটা আমার বলে উঠল, আব্বা শরীর কেমন করে। আমি বললাম, মা গো আল্লাহরে ডাকো। তিনি নিশ্চয় তোমারে ভালো করে দেবেন। আমার মেয়েটা তো থাকতেই চাইছিলো। কিন্তু রাখতে পারলাম না।’