সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিএনপি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রাকিবুল ইসলাম
সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এমনকি এই অপপ্রচারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি কত টাকা খরচ করেছে তার হিসাবও সরকারের কাছে রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
এসময় তিনি প্রশ্ন রাখেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান এখনো কিভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রয়েছেন?
শহারিয়ার আলম বলেন, গত ৫ বছরে বিএনপি-জামায়াত কতটি লবিস্ট ফার্মে টাকা দিয়েছে সেগুলোরও হিসাব-নিকাশ সরকারের কাছে রয়েছে। এগুলো সময়মতো প্রকাশ করা হবে। কে, কোন অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছেন আমাদের কাছে সব তথ্য আছে। এগুলো তদন্ত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৫ সালে বিএনপির নয়াপল্টনের ঠিকানায় অ্যাকিন গর্ভমেন্ট অ্যাসোসিয়েটের সঙ্গে একটি চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তিতে মাসিক ৫০ হাজার ডলার পরিশোধের কথা উল্লেখ রয়েছে। সেটা তিন বছর অব্যাহত ছিল। বছরে আসে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার। আমার কাছে এ ধরনের ১০টি ডকুমেন্ট রয়েছে। এগুলো আমি সংসদে দেবো। সব কিছুই তদন্ত করে দেখতে হবে।
এসময় তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চান- প্রতিটি রাজনৈতিক দল কি বছর শেষে তাদের হিসাব-নিকাশ প্রকাশ করে?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে জিজ্ঞেস করতে হবে এ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে গেছে কিনা? তা না হলে এতিমের টাকা খেয়ে যে টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে সে টাকার ব্যবহার এখানে করা হয়েছে কিনা সেই তদন্ত চাই।
শাহরিয়ার আলম বলেন, মীরজাফর বিদেশিদের সঙ্গে চক্রান্ত করে এ দেশের সূর্য ডুবিয়ে দিয়েছিল। আবার সেই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়। অবরোধের ডাক দেয়া হয়। এতে ব্যর্থ হয়ে টাকা-পয়সার খেলা চলতে থাকে। নতুন করে চক্রান্ত করতে বিদেশিদের কাছে হাত পাতে। এটা চিরতরে বন্ধ হতে হবে।
‘বিএনপি-জামায়াতের বিচার করতে হবে। তারা খালেদা জিয়াকে বলেছে দেশনেত্রী। আমি বলবো তিনি দেশবিরোধী নেত্রী। দেশদ্রোহিতার কারণে পুনরায় তার বিচার করতে হবে’ বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি বলে তারা স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করেছে? আমিতো দেখেছি রাজশাহীতে তাদের দলের সব জায়গায় প্রার্থী ছিলো। আবার তাদের দলের একজন প্রার্থী নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। তারা যদি ভোট বর্জন করেই থাকে তাহলে হারুন কার প্রার্থী। তিনি (হারুন) কী দল বদলে ফেলেছেন।
মন্তব্য করুন :
