রিমান্ডে আবারও নিজের দোষ অস্বীকার করলেন ইভ্যালির রাসেল
সাদাকালো নিউজ ডেস্ক
পুলিশের রিমান্ডের প্রথম দিন ইভ্যালির রাসেলের দাবি, ‘তিনি কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি, প্রতারণার প্রশ্নই ওঠে না। গ্রাহক জেনেবুঝেই ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করেছে। যারা ডেলিভারি পায়নি ভবিষ্যতে টাকা পেয়ে যাবে। এখানে প্রতারণার কোনো বিষয় ছিল না।’
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন।
পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, রিমান্ডে রাসেল দাবি করেছেন, ‘ইভ্যালির প্রতিটি পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনের সঙ্গে পণ্য ডেলিভারির বিষয়ে শর্ত দেয়া ছিল। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল ‘স্টক থাকা পর্যন্ত’। অনেক সময় স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারেননি। যাদের পণ্য ডেলিভারি দিতে পারেননি তাদের টাকা রিফান্ড করেছেন। অনেকের রিফান্ড প্রক্রিয়াধীন।
রাসেল বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি একটি নির্দেশনা দেয়, কোনো গ্রাহক পণ্য অর্ডার করলে তাকে ওই পণ্যের ১০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করতে হয়। বাকি ৯০ শতাংশ টাকা গ্রাহক পণ্য পাওয়ার পর প্রদান করবেন। আমরা অনেকের কাছ থেকে অর্ডার নিয়েছি, সাপ্লাইয়ারকে অর্ডারের বিষয়ে জানিয়েছি। বেশ কয়েকজন সাপ্লাইয়ার ইভ্যালিকে ফুল পেমেন্ট ছাড়া পণ্য দিতে চায়নি। তাই ডেলিভারিগুলো আটকে গেছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন সেলার বলেছেন করোনাকালীন সময়ে অনেক পণ্যের ‘উৎপাদন বন্ধ ছিল’, তাই তারা ইভ্যালিকে পণ্য দেয়নি। ফলে গ্রাহকদের সব পণ্য ডেলিভারি দেয়া যায়নি।’
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামের ইভ্যালির এক গ্রাহক এই মামলা করেন। মামলা দায়েরের পরদিন বিকালেই তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। এরপর তাদের র্যাব সদরদফতরে নিয়ে করা হয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে গুলশান থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়। শুক্রবার বিকালে তাদের ৩ দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম।