যে কারণে মেয়েরা কথায় কথায় রেগে যায়
জহুরা প্রিতু
অনেক পুরুষের অভিযোগ মেয়েরা নাকি কথায় কথায় রেগে যায়। এর কারণ কী? উত্তরটা হয়তো মেয়েরা নিজেরাও জানেন না। তাদের এই অকারণে রেগে যাওয়ার অন্তরালে থাকতে পারে নানান শারীরিক জটিলতা! কিংবা নেপথ্যে থাকতে পারে কোনও দৈনন্দিন অভ্যাস।
প্রথমেই ধরা যাক ঋতুচক্র৷ এই সময় মেয়েদের মেজাজ একটু খিটখিটে থাকে। তাই নিয়ে ঠাট্টাও চলে বন্ধুদের মধ্যে৷ কিন্তু কেন এই সময় এরকম হয়? আসলে ঋতুচক্র শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায়। আবার হঠাৎ করেই তা নেমেও যায়৷ যার ফলে খামখেয়ালী হয়ে ওঠেন নারীরা৷
যেসব নারী নিজেদের রাগের কারণ জানেন না, নিজের কাছেই কিছু প্রশ্ন করুন। উত্তর মিলে যাবে। আপনি কি কফির প্রেমে পাগল? নিয়মিত দিনে বেশ কয়েক কাপ কফি না হলে যদি আপনার সমস্যা হয়, তাহলে বুঝবেন কফি এখন আপনার আসক্তি৷ কিন্তু এই আসক্তি আপনার মুড সুইং-এর কারণ হতে পারে- ভেবে দেখেছেন কখনও? অতিরিক্ত ক্যাফাইন সেবনের ফলে আপনার স্বভাব খিটখিটে হতেই পারে! এমনকী আপনি প্রায়ই মাথাব্যথারও শিকার হতে পারেন৷
বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলেও আপনি অকারণে রেগে যেতে পারেন৷ কাজ করার জন্য মানুষের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট মাত্রায় গ্লুকোজ প্রয়োজন৷ দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে সেই মাত্রা কমে যায়৷ ফলে অকারণেই খিটখিটে হয়ে উঠতে পারেন আপনি৷ তাই অল্প অল্প করে সবসময় কিছু না কিছু খেতে থাকুন, এতে মন আর মেজাজ দুটোই ভাল থাকবে৷ কিন্তু তাই বলে জাঙ্ক ফুড খাবেন না৷ কারণ জাঙ্ক ফুড মস্তিষ্কের কোষগুলো একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এমনকী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চর্বিযুক্ত খাবার বিষণ্ণতা বোধ জাগিয়ে তোলে৷
এছাড়া থাইরয়েড চেক আপ করানোও বাধ্যতামূলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ আসলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, তার উপর নির্ভর করে নানান রাসায়নিক রূপান্তর৷ হাইপোথাইরয়েডিজম নামক একটি ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে এই হরমোন কমে যায়৷ এর কারণেও অকারণে রেগে যাওয়া বা মুড সুইং হতে পারে আপনার৷
আপনি যদি নিজে মুড সুইং-এর শিকার হন বা আপনার প্রিয়জন যদি অকারণে রেগে যান তবে এবার একটু ভাবুন! হয় নিজে চিকিৎসকের কাছে যান! নয় তো প্রিয় মানুষটিকে সাহায্য করুন মেজাজ ঠিক রাখতে! দরকারে তাঁর জন্য চিকিৎসকেরও পরামর্শ নিন৷