
যেসব কারণে পুরো সপ্তাহ যানজটে ভোগান্তি হতে পারেন রাজধানীবাসী
চলতি সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষাসহ তিন কারণে যানজটে রাজধানীবাসীর ভোগান্তি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম মেহেদী হাসান।
যানজটে জনভোগান্তি কমাতে প্রতিটি বিভাগের উপকমিশনার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম মেহেদী হাসান।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘এ সপ্তাহে এইচএসসির তিনটি পরীক্ষা আছে। পাশাপাশি আগামীকাল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। প্রথম কর্মদিবসে সড়কে মানুষের চলাচল বাড়ে। এছাড়া ১৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা। ওইদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রাস্তায় বের হবেন। সারা শহরে তাদের গমনাগমন বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘এছাড়া ১৭ জুলাই আশুরা। এ উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল আছে। ওই সময়টায় যানজট বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলনও চলছে। সবকিছু মিলিয়ে এ সপ্তাহের চ্যালেঞ্জগুলো সামনে রেখে প্রতিটি বিভাগের উপকমিশনার তাদের মতো করে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে জনভোগান্তি কমাতে কাজ করছেন।’
পুলিশ সবসময় বলে জনভোগান্তি করলে আইন প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোটা আন্দোলনে আইন প্রয়োগ না করে জনভোগান্তি বাড়ানো হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা আটটি ডিভিশনের ভেতরে সমন্বয় করে। ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে একযোগে কাজ করে টিম ডিএমপি। আমরা সবসময় চেষ্টা করি সাধারণ মানুষের গমনাগমনের ক্ষেত্রে ভোগান্তি যত কমানো যায়।’
জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা নির্দিষ্ট কিছু রাস্তায় চালানো যাবে। মূল সড়কে কখনও চলাচল করতে পারবে না। ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তাদের সচেতন করছি। রাজধানীর মূল সড়কে অল্পগতির কোনো যানবাহন চলবে না। সে জন্য পুলিশের অন্য ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।’
ফুটপাত দখলমুক্ত করার বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ কী ভাবছে- এমন প্রশ্নে মেহেদী হাসান বলেন, ‘বেশিরভাগ জায়গায় আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করেছি। উচ্ছেদের পরও কিছু কিছু জায়গা দখল করে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেসব ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’