যেসব কারণে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
রাকিবুল ইসলাম
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ফের শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। প্রতিদিন বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। গেল শনিবার ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ১৯৭ রেকর্ড করা হয়েছে। যা মারাত্মক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ঢাকার পরের অবস্থানে রয়েছে, চীনের শেনিয়াং ও উহান। যার কিউআই সূচক যথাক্রমে ১৭৯ ও ১৭৬ । একিউআই এর সূচক মতে ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। যা স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বায়ু দূষণে ভুগছে। বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে, নির্মাণ কাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
বেশ কয়েকটি গবেষণা অনুসারে দেখা গেছে যে, বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার জন্য ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি। দীর্ঘদিন দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ফলে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসকষ্টের ফলে আনুমানিক ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।