বিমান ছাড়াই আকাশ ভ্রমন
নাফিজা আক্তার
কক্সবাজার শহর থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে আট কিলোমিটার গেলে দরিয়ানগর পর্যটনপল্লি। এ পল্লির পশ্চিম পাশেই দরিয়ানগর সমুদ্রসৈকত। মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফে যাওয়া-আসার সময় আকাশে ভেসে থাকা পর্যটকদের দেখা যায়। আর নিচে বালুচরে দাঁড়িয়ে অন্য পর্যটকেরা শূন্যে ভেসে থাকা ব্যক্তির ছবি তোলেন।
সম্প্রতি দরিয়ানগর সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, এক দল পর্যটক প্যারাসেইলিং করার জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। সৈকতে নামার আগে মেরিন ড্রাইভের এক পাশে টিকিট কাউন্টার। টিকিটের মূল্য ২ হাজার ও ২ হাজার ৫০০ টাকা।
২ হাজার টাকার টিকিটে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট আকাশে ওড়া যায়। আর ২ হাজার ৫০০ টাকার টিকিটে আকাশে ওড়ার পাশাপাশি সমুদ্রের লোনাপানিতে দুবার পা ভেজানোর সুযোগ থাকে।
দরিয়ানগরে প্যারাসেইলিং পরিচালনা করছে ‘ফ্লাই এয়ার সি স্পোর্টস প্যারাসেইলিং’ নামের বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ ফরিদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগে দুই বছর আগে সৈকতে প্যারাসেইলিং চালু করেছেন তিনি। কিন্তু এখনো লাভের মুখ দেখেননি বলে দাবি করেন তিনি।
মোহাম্মদ ফরিদ আরও বলেন, ১২ বছরের নিচে কাউকে প্যারাসেইলিং করতে দেওয়া হয় না। এ ছাড়া ১২০ কেজির বেশি ওজনের মানুষ, দুর্বল চিত্তের মানুষ অথবা হার্টের সমস্যা আছে—এমন লোকজন ছাড়া যেকোনো নারী–পুরুষ নিশ্চিন্তে প্যারাসেইলিং করতে পারেন। তবে যাঁদের উচ্চতায় ভীতি আছে, তাঁদের প্যারাসেইলিং না করাই ভালো।