নায়ক থেকে কৃষক সুপারস্টার ধর্মেন্দ্র!
নাফিজা আক্তার
বলিউডে বিনোদন জগতের অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ধর্মেন্দ্র। একটা সময় সিনেপ্রেমীদের মধ্যে অভিনয়ের পাশাপাশি ধর্মেন্দ্রর স্টাইলও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। নাম, যশ, খ্যাতি কোনোকিছুরই কমতি নেই এই ধর্মেন্দ্রের। কিন্তু বি-টাউনের এতো বড় একজন অভিনেতা হয়েও সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করছেন তিনি। কিন্তু কেন?
এ ব্যাপারে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোকে ধর্মেন্দ্র জনিয়েছেন, মাটির খুব কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসেন তিনি। এ কারণে অভিনয় ছেড়ে কৃষি কাজে মন দিয়েছেন ‘শোলে’ সিনেমার এই অভিনেতা। নিজের হাতে পোষা গরু, ছাগলদের খাবার খাওয়াতে ভালোবাসেন এই অভিনেতা। এতে মনে শান্তি পান তিনি। এই কাজে মাঝে মাঝে স্ত্রী হেমা মালিনীও তাকে সাহায্য করে।
সম্প্রতি এই অভিনেতার খামার বাড়ির বেশকিছু ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। শহরের কোলাহল থেকে মুক্ত হতে শান্ত পরিবেশে রয়েছে ধর্মেন্দ্রর খামার বাড়ি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে কখনো তাকে দেখা যায় শাকসবজির দেখাশোনা করতে। আবার কখনো গরুর যত্ন নিতে। জৈবিক উপায়ে শাকসবজি উৎপাদিত হয় অভিনেতার খামার বাড়িতে। এইসব শাকসবজি আবার ছেলে-মেয়েদের বাড়িতে পাঠান ধর্মেন্দ্র।
১৯৫৪ সালে প্রকাশ কউর এর সঙ্গে খ্রিস্টান রীতিতে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন ধর্মেন্দ্র ওরফে ধরম দেওল। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। কিন্তু তাকে বিচ্ছেদ না দিয়েই হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন অভিনেতা। তাদের চার ছেলে-মেয়েও হয়। তাদের নাম- অজয় সিং (সানি), বিজয় সিং (ববি), অজেতা দেওল ও বিজেতা দেওল।
শোনা যায়, প্রথমে একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়াতে চাননি হেমা। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পড়ে নিজের অনুভূতির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন তিনি।
ধর্মেন্দ্রর সাবেক স্ত্রীর ব্যাপারে নিজের জীবনীতে হেমা জানান, ধর্মেন্দ্রর অপর পরিবারের সঙ্গে তার কখনো দেখা হয়নি। কারণ তাদের বিরক্ত করতে চাননি তিনি।