টিএসসির আড্ডায় নতুন সঙ্গী সৈকতের ‘উন্মুক্ত পাঠাগার’
রাকিবুল ইসলাম
তানভীর হাসান সৈকত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সদস্য। আছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদকের পদেও। সম্প্রতি এই তরুণ আলোচনায় এসেছেন ময়লার স্তুপ সরিয়ে উন্মুক্ত পাঠাগার তৈরি করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৩ নম্বর গেইটের সামনে অনেকটা ব্যক্তিগত উদ্যোগেই সৈকত করেছেন অভাবনীয় এই কাজ।
রাস্তা থেকেই যে কারও চোখে পড়বে পাঠাগারটি। কালো কাঠের পাটাতনের ওপর তিন তাকওয়ালা কাঠের একটি রঙিন বইদানিতে সাজানো আছে বিভিন্ন লেখকের বই। সৌন্দর্য বাড়াতে রাখা হয়েছে বাহারি গাছ। এছাড়াও পাঠাগারটির একপাশে সাঁটানো হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত নানা ছবি। আঁকা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর তর্জনী উঁচু করা ছবি, যা মনের করিয়ে দেয় ৭ই মার্চের সেই স্বাধীনতার ঘোষণার কথা। গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু হলেও ১৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় সৈকতের উন্মুক্ত পাঠাগার। সেখানে বসেই সৈকত সাদাকালো’কে জানালেন উন্মুক্ত পাঠাগার গড়ে তোলার কারণসহ নানা বিষয়।
উন্মুক্ত পাঠাগারের উদ্যোক্তা সৈকত এর আগেও দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুতে সাধারণ ছুটির সময় টানা ১২১ দিন টিএসসি এলাকায় থাকা ভাসমান মানুষদের দুই বেলা খাবার সরবরাহ করেন। এছাড়াও সুনামগঞ্জের বেদেপল্লী ও গুচ্ছগ্রামেও খাবার সরবরাহ করেন তিনি।