জয়নাল হাজারীর বিশাল সম্পত্তির কী হবে?
রাকিবুল ইসলাম
রাজনীতিতে এক সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত নেতা ও ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারী। ফেনীর এই আলোচিত নেতা গোটা রাজনৈতিক জীবন কাটিয়েছেন শহরের মাস্টারপাড়ায়। সেখান থেকেই তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। প্রয়াত এই রাজনীতিক ছিলেন চিরকুমার। জীবিত অবস্থায় তিনি কোন সম্পত্তি ওয়াকফ বা অন্য কোথাও দান করেননি।
এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে তার রেখে যাওয়া সম্পদের উত্তরাধিকার কে অথবা কারা হবেন?
জয়নাল হাজারীর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং অত্মীয়রা বলছেন, তার সম্পদের ভাগিদার হবেন ভাই-বোন। কেউ বলছেন, ভাতিজা-ভাতিজি ও ভাগিনা-ভাগ্নিরা মালিক হবেন বিশাল এই সম্পত্তির।
প্রয়াত এই নেতা ফেনী শহরে নিজ বাড়ির সামনে ৬০ শতাংশ জায়গায় তৈরি করেছিলেন দৃষ্টিনন্দন মুজিব উদ্যান। বঙ্গবন্ধুর নামে গড়া এই উদ্যানেই তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এই জায়গাটি অখণ্ড রাখার জন্য তিনি মৃত্যুর আগে ওসিয়ত করেন। এ কারণে তার স্মৃতিরক্ষায় মুজিব উদ্যান ও শৈলকুটির থাকবে অখণ্ড।
এছাড়াও জয়নাল হাজারীর পৈত্রিক সূত্রে মালিকানা পাওয়া ৩ শতাংশ জায়গায় ভবন রয়েছে। শহরের পেট্রোবাংলায় আছে ৩০-৩৫ শতাংশ জায়গা।
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে রয়েছে ফ্ল্যাট। এটি আগেই ছোট বোন খোদেজা হাজারীকে দান করেন। রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার নামে একটি প্লটও আছে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর ল্যাবএইড হাসাপাতালে ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জয়নাল হাজারী। নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ফেনী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জয়নাল হাজারী। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তীকালে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ১৬ আগস্ট রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। তিনি তখন পালিয়ে ভারতে চলে যান। ২০০৪ সালে হাজারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তার বিরুদ্ধে করা একে একে সব মামলা থেকে অব্যাহতি পান প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ।
দেড় দশক পর ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে পদ পান তিনি।