রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য কারিতাসের নানা কর্মসূচি
রাকিবুল ইসলাম
বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবেলায়, বিশেষ করে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য অবকাঠামো নির্মাণে বিশেষভাবে কাজ করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘কারিতাস বাংলাদেশ’। সংস্থাটির ‘জরুরি সাড়াদান কর্মসূচী’-র আওতায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদেরও নানাভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে।
ক্রমেই দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হলেও সাধারণ মানুষ তা আমলে নিচ্ছে না। ফলে প্রতিদিনই শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে।
এরই মধ্যে ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটি সাড়াদান প্রকল্পের’ অধীনে দাতা সংস্থা ‘ক্যাফোড’ এর সহায়তায় করোনা মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে হতদরিদ্র, কর্মহীন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ১ হাজার ৫৬ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও ১ হাজার ৩২২ রোহিঙ্গা পরিবারের নারীদের জন্য করোনা সুরক্ষায় হাইজিন ও ডিগনিটি কিটস বিতরণ, কক্সবাজার পৌরসভা ও সদর উপজেলার প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশুদের জন্য ২০ হাজার মাস্ক বিতরণ করছে কারিতাস বাংলাদেশ।
কারিতাস বাংলাদেশের জরুরি সাড়াদান কর্মসূচীর হেড অফ অপারেশন ইন্মানুয়েল চয়ন বিশ্বাস বলেন, ‘কারিতাস বাংলাদেশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কক্সবাজার জেলায় মহামারিতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য কাজ করছে গুরুত্বের সঙ্গে। একটি প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় এক হাজারেরও বেশি হতদরিদ্র পরিবারকে- পরিবার প্রতি ৪৫০০ টাকা প্রদান করছে কারিতাস বাংলাদেশ।’
সম্প্রতি পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে স্থানীয় ভাষায় পথনাটক প্রদর্শনের আয়োজন করেছে কারিতাস বাংলাদেশ। পথনাটকে জনসাধারণকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় টিকা নিতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। কারিতাস বাংলাদেশের পথ নাটকে ফুটে উঠেছে- অসচেতন একজন পিতার গোড়ামির ফলে তার পরিবারে নেমে আসা দুর্দশার গল্প। পথ নাটকে জনগণকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় টিকা নিতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
কারিতাস বাংলাদেশের জরুরি সাড়াদান কর্মসূচীর প্রকল্প পরিচালক মার্সেল রতন গুদা বলেন, ‘পথনাটক জনগুরুত্বপূর্ণ যেকোন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে খুবই ফলপ্রসু। আশাকরি জনগণ আরও সচেতন হবেন এবং নতুনভাবে আগত করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবেলায়ও বাংলাদেশ সক্ষম হবে। শহর এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি পালন এবং টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতেই কারিতাস বাংলাদেশের এই আয়োজন।’
এদিকে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যক্তি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ বাড়ানোর কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন :
