কেন দুই শিশুকে পিস্তল চালানো শেখালেন বিচারক?
রাকিব হাসান
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৬ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি দুই শিশুকে পিস্তল চালানো শেখাচ্ছেন। শিশু দুটির বয়স আনুমানিক চার ও সাত বছর হবে। তাদের বিভিন্ন জায়গায় গুলি চালানো শেখাচ্ছেন ওই ব্যক্তি।
জানা যায়, ভিডিওটি ২০১৬ সালের। খুলনার সুন্দরবন এলাকায় ধারণ করা। ওই ব্যক্তির নাম জাহিদুল ইসলাম। তিনি তখন কয়রার ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখন ভিডিওটি করে তিনি নিজেই ফেসবুকে দিয়েছিলেন।
ভিডিওটির সত্যতা স্বীকার করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম জুয়েল দাবি করেন, অনেক আগে বেড়াতে গিয়ে শখের বশে ভিডিওটি করা হয়।
তিনি বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র কিভাবে চালাতে হয় সেটা তিনি জানেন। তিনি যে ভিডিওটা আপলোড করেছেন সেখানে সর্তকতার সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র চালানো হয়েছে। মূলত জঙ্গলের ভেতরে একটা গাছকে টার্গেট করার জন্য গুলি চালানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর পরে কোনো ক্ষতির কারণ নেই। এখানে আহত হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। এছাড়া তিনি একটা ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
অস্ত্র এবং গুলি আছে। কিন্তু ফায়ারিং রেঞ্জ নেই। এটা শুধুমাত্র একটা পরীক্ষামূলক। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। ২০১৬ সালের আগে নির্দিষ্ট কিছু গুলি বরাদ্দ ছিলো। সেগুলো তখনই শেষ করতে হতো। সেসময় এদিক-সেদিক গুলি করে সেগুলো শেষ করেছেন তিঞ্জ।
২০১৬ সালে অস্ত্র আইন হওয়ার পর থেকে অস্ত্র ব্যবহার করেন না বলে জানান তিনি।
করি না।
তিনি আরও বলেন, যখন ভিডিওটি করা হয়েছে তখন বিধিমালা ছিলো না। এটা তো শুধু শখ করে গুলি চালানো।
সন্তানদের গুলি চালানো নিয়ে তিনি জানান, বাচ্চাদের আস্তে আস্তে শিখানো হচ্ছে। এটা একটা শিক্ষার দরকার আছে। এখানে দোষের কিছু না। একসময় তারা শুটিং খেলবে বা ভালো খেলাধুলা করবে।
বাচ্চাদের আগ্নেয়াস্ত্র চালনা শেখানো নৈতিকভাবে কতটুকু ঠিক এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল বলেন, এটা বাচ্চারা শখ করে করেছে। তবে এটা করা ঠিক হয়নি। সেজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।