ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে চেয়েছিল রাসেল
রাকিব হাসান
ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তাদের মোট দায় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাবের সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সাধারণ গ্রাহকদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করেছে ইভ্যালি। দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা দেনাসহ ইভ্যালিকে বিক্রি অথবা দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিলো ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেলের।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও জানান, ইভ্যালি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান। ব্যবসায়িকভাবে কখনোই লাভ করতে পারেননি মোহাম্মদ রাসেল। গ্রাহক-পণ্য সরবরাহকারীদের টাকায় সব খরচ করতেন তিনি। ফলে ধীরে ধীরে বেড়েছে তার দেনার পরিমাণ।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছেন ইভ্যালির ব্যাংক হিসাবে এখন আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। এর বাইরে বিভিন্ন লেনদেন মাধ্যমে আটকে আছে ইভ্যালির ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা, যেগুলোর মালিক গ্রাহকেরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাসেল ও শামীমা নাসরিন পদাধিকার অনুযায়ী মাসিক ৫ লাখ টাকা করে বেতন নিতেন। কোম্পানির টাকায় একটি করে দামি গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মো. রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে গুলশান থানায় নিয়ে যাচ্ছে র্যাব। সেখান থেকে আদালতে নেয়া হবে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তারা।