আমার ইজ্জত লুটে নিলে, সব লুঠ হয়ে যাবে – মমতা
সাদাকালো নিউজ
ভারতের জাতীয় বিচারবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হাজির হয়ে বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, সংবাদমাধ্যম বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমার ইজ্জত লুটে নিলে, সব লুঠ হয়ে যাবে।
এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা আইনজীবী হতে চলেছেন তাঁদের অনুরোধ করব, ন্যায় যেন জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের মাধ্যমে হয়। মানুষ যখন আশাহত হয়ে পড়ে তখন তারা বিচারালয়ে যায়। আমরা বিচারালয়কে মন্দির, মসজিদ, গির্জার মতো শ্রদ্ধা করি। তাই আইনজীবী ও বিচারপতিদের নজর রাখা উচিত শান্তি, বাকস্বাধীনতাসহ সব কিছু বজায় থাকে’।
একই সঙ্গে বিচারব্যবস্থার মানুষের কান্না শোনা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘আমি আমাদের প্রধান বিচারপতি ললিতজিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। মাত্র ২ মাস পদে থাকলেও তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বিচারব্যবস্থা কাকে বলে। বিচারব্যবস্থায় মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। বিচারব্যবস্থার মানুষকে বিপর্ষয় ও অন্যায়ের হাত থেকে বাঁচানো উচিত। বিচারব্যবস্থার মানুষের কান্না শোনা উচিত। মানুষ এখন দরজা বন্ধ করে কাঁদছে’।
মমতার দাবি, ‘এখন চারিদিকে অনেক কিছু চলছে। আমরা বলতে খারাপ লাগছে। আমি ভুল হলে মার্জনা করবেন। আদালতের রায়ের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। মিডিয়া বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা হওয়া উচিত নয়। বিচারব্যবস্থা সর্বোচ্চ, সংবাদমাধ্যম তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তারা ইচ্ছা করলে যাকে খুশি অভিযুক্ত করতে পারে’।
এর পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একমাত্র সম্পদ হল আমার ইজ্জত। আমার ইজ্জত লুটে নিলে, সব লুঠ হয়ে যাবে। খালি চরিত্রহনন করলেই ইজ্জত লুঠ হয় না। ইজ্জত ইজ্জতই। আমার সম্মান কেউ হরণ করলে তা ফেরত আসবে না’।
বিচারপতি ও আইনের ছাত্রদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করব, খেয়াল রাখবেন যেন যুক্তরাষ্ট্র কাঠামো অটুট থাকে। অকারণে মানুষের হয়রানি মাত্রা ছাড়িয়েছে। এক শ্রেণির মানুষ সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার কুক্ষিগত করে রেখেছে। এরকম চলতে থাকলে দেশ দ্বিদলীয় গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাবে। তাহলে গণতন্ত্রের কী হবে? গণতন্ত্র বাঁচান। এটাই আমার একমাত্র অনুরোধ’।