অবশেষে মুখ খুললেন এফডিসির এমডি
গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে শোবিজ পাড়ায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। এতোকিছুর পর গেল ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলেও থেকে গেছে অনেক ঝামেলা।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন সিনেমা সংশ্লিষ্ট ১৭টি সংগঠনের সদস্যদের কাউকে এফডিসিতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এতে করেই চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন সংগঠনটির সদস্য কর্মীরা। যা নিয়ে ২৯ জানুয়ারি থেকে এফডিসিতে তুমুল আন্দোলন করছেন তারা। তিন দফা দাবির প্রতিবাদে আজও চলছে মিছিল-মিটিং।
তিনটি দাবির মধ্যে একটি হলো এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের অপসারণ। তাকে ঘিরেই আন্দোলনে উত্তাল এফডিসি। কারণ এফডিসিতে ১৭টি সংগঠনের কাউকে ঢুকতে না দেয়ার নির্দেশনা তিনিই জারি করেছিলেন। আর এটি বাস্তবায়নে মুখ্য ভুমিকা রেখেছিলেন নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুণ।
২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন এমডি নুজহাত ইয়াসমিন। তিনি তার বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পীরজাদা হারুন কেন আমার কারো সঙ্গেই আঁতাত করার প্রয়োজন নেই। যারা আমার সম্পর্কে এমন অহেতুক অভিযোগ করছেন সেগুলো প্রমাণ করার দায়িত্বও তাদের।’
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের করোনা বিষয়ক নির্দেশনা মেনেই শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট নেয়া হয়েছে জানিয়ে এফডিসির এমডি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমি কোনো অন্যায় করিনি।’
২৮ জানুয়ারি নাট্য অঙ্গনের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আট শতাধিক ভোটার ও শত শত সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন এমন প্রসঙ্গ আসতেই এফডিসির এই কর্তা বলেন, ‘সেটি আমার দেখার দরকার নেই। তাছাড়া সেটি আমার বিষয়ও নই।’
শিল্পী সমিতির ভোটগ্রহণের দিন এফডিসিতে প্রবেশের জন্য ১৭টি সংগঠনের নেতারা অনেকবার এমডিকে অনুরোধ করেছেন। এমনকি তারা খুব অল্প কয়েকজনের একটি তালিকা করে সেটি জমাও দিয়েছিলেন। এরপরও অনুমতি দেননি এমডি। উল্টো তাদের সঙ্গে ‘খারাপ আচরণ’ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সবগুলো সংগঠনের এফডিসিতে প্রবেশের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত নাকি অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটিরও কোনো পরোয়া করেননি এফডিসির এমডি। বরং তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেটিতেই অনড় ছিলেন।
এসবের বিরুদ্ধেই লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ১৭টি সংগঠনের সদস্যরা। যদি নুজহাত ইয়াসমিনের অপসারণ না হয় তাহলে তারা সবাই অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।