বছরে অপচয় হচ্ছে তিন হাজার কোটি টাকার গ্যাস
সাদাকালো নিউজ
গ্যাসের সঞ্চালন এবং বিতরণে নিয়োজিত সরকারি পাঁচ কোম্পানির ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা এবং কর্মীদের অদক্ষতার কারণে সিস্টেম লসের নামে বছরে অন্তত ৬৫ কোটি ঘনমিটার গ্যাস অপচয় হচ্ছে। প্রতিবছর এই পরিমাণ বেড়েই চলেছে। বিপরীতে জনগণের টাকায় বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে হচ্ছে সরকারকে।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) হিসাবে, প্রতি ঘনমিটার এলএনজি আমদানিতে খরচ ৫০ টাকা। সে হিসাবে বছরে অপচয় হওয়া ৬৫ কোটি ঘনমিটার গ্যাসের দাম দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা।
দেশের একমাত্র গ্যাস সঞ্চালন সংস্থা এবং ছয়টি বিতরণ কোম্পানির সূত্র বলছে, কাগজ-কলমের হিসাবের চেয়েও গ্যাস অপচয়ের পরিমাণ অনেক বেশি। গ্রাহকদের অনেকে কম গ্যাস ব্যবহার করে বাড়তি বিল দেন, ফলে কাগজের হিসাবে অপচয় কম দেখাতে পারছে কোম্পানিগুলো। কিন্তু দেশের কয়েক হাজার কোটি টাকার গ্যাস বেহাত হয়ে যাচ্ছে নিয়মিত।
গ্যাস সঞ্চালনের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) বছরে গ্যাসের অপচয় ৬ কোটি ২০ লাখ ঘনমিটার।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাসের অপচয় ৩২ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার গ্যাস আর কুমিল্লা এলাকায় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি বাখরাবাদের অপচয় ১৮ কোটি ৫২ লাখ ঘনমিটার। চট্টগ্রামের গ্যাস বিতরণ কোম্পানি কর্ণফুলীর অপচয় ৫ কোটি ঘনমিটার আর সিলেটের গ্যাস বিতরণ কোম্পানি জালালাবাদের অপচয় ২ কোটি ৬৫ লাখ ঘনমিটার।
খাত বিশ্লেষকদের মতে এই অপচয় বন্ধ করা গেলে বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি অনেকটাই কম লাগবে।