ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন এবার সরে দাঁড়ালেন মৃধা!
সাদাকালো নিউজ
আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন। ইতোমধ্যে আসনটিতে বইছে নির্বাচনি আমেজ। চায়ের কাপে নির্বাচনী ঝড় তুলছেন স্থানীয়রা। এ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভুঁইয়ার পর আলোচনায় ছিলেন জিয়াউল হক মৃধা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মৃধা। এছাড়া তিনি জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৫২ সালের পহেলা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়েজুল হক মৃধা। মা জামিলা খাতুন।
গত ১৪ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের তিন হেভিওয়েট নেতা নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন এবং আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম ওরফে সাজু। এরপর থেকে আলোচনায় ছিলেন মৃধা।
গত বছরের ১৭ই সেপ্টেম্বর রওশন এরশাদ ইস্যুতে মৃধাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জাতীয় পার্টি। দলীয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সব পদ-পদবি থেকে জিয়াউল হক মৃধাকে অব্যাহতি দেয়া হল। পরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃধা।
এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন মৃধা। আপেল মার্কাও পেয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ আজ বুধবার এক বিবৃতিতে নির্বাচন করবেন না জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির এই বহিস্কৃত নেতা।
বিবৃতিতে মৃধা জানান, ভোটের জন্য ভোটারদের কাছে যে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেবেন, তা নির্বাচনে বিজয়ী হলেও স্বল্প সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে মৃধার মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার ছেলে মৃধা মাহবুবে ইলাহী জানান, বাবার বিবৃতির বিষয়টি সঠিক। তার বাবা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী এবং মৃধার নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার জয়ের পথ আরো সুগম হয়েছে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
তবে চার প্রার্থী সরে দাঁড়ালেও সাত্তার ছাড়া আরও তিনজন প্রার্থী আছেন ভোটের মাঠে। এরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাষানী, জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ।
