এবার তাজমহলকে গিলে খাচ্ছে যমুনা!
সাদাকালো নিউজ
গত ৪৫ বছরে যা হয়নি এবার সেটাই হচ্ছে ভারতে। সড়কে ভেসে যাচ্ছে মানুষ। ডুবে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। যমুনা পৌঁছে গেছে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য হিসেবে খ্যাত তাজমহল চত্ত্বরেও। আর এমন অবস্থা দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ইতিহাসবিদদের।
এদিকে ভারতের বন্যায় শঙ্কিত বাংলাদেশও। কারণ ভারতের প্রায় সব বন্যার ধকল বাংলাদেশের বুক দিয়েই বয়ে যায়। তাহলে কি ভারতের বন্যার প্রভাবে বাংলাদেশও ডুবতে চলেছে? এমন প্রশ্ন এখন সবার মনে।
বর্তমানে পানিতে ভাসছে গোটা উত্তর ভারত। দিল্লি ডুবিয়ে যমুনা প্রবেশ করেছে আগ্রাতেও। সাধারণত ৪৯৫ ফুট থাকে যমুনার পানি। কিন্তু এখন তা বেড়ে ৪৯৭ দশমিক ৯ ফুট পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। পানি বাড়তে বাড়তে উঠে গেছে তাজমহল চত্ত্বরে।
যমুনার পানিতে এখন ভাসছে জগত বিখ্যাত এই স্থাপনার সামনের অংশ। তাজমহলের পেছনের দিকের বাগানও সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। যমুনা যেন ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বড় এই বিজ্ঞাপনকে।
শুধু তাজমহল নয়, যমুনার পানিতে ভেসে গেছে দশরা ঘাটও। এছাড়া পানিতে ভাসছে ইদমাত-উদ দৌলার সমাধিস্থলও। এমনকি রামবাগ, মেহতাববাগ, জোহরাবাগ, কলা গুমবাদ এবং চিনি কা রউজার মতো সৌধগুলোর অবস্থাও খুব খারাপ। যেকোনো সময় পানিতে ভেসে যেতে পারে এসব স্থাপনা।
এর আগে ১৯৭৮ সালে যমুনার পানির স্তর বেড়ে দাঁড়িয়েছিলো ৫০৮ ফুটে। সে সময় তাজমহলের বাসাই ঘাট বুর্জ পানিতে তলিয়ে গিয়েছিলো। একিসঙ্গে সৌধটির বেসমেন্টের মোট ২২টি ঘরে ঢুকেছিলো পানি। পরে সরকারের পক্ষ থেকে কাঠের দরজা সরিয়ে বাসাই এবং দশরা ঘাটের মাঝে একটি মজবুত দরজা তৈরি করা হয়েছিলো।
তবে এবার যমুনার কালো পানির চোখ রাঙানি দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বলা হচ্ছে- অতীতের সব রেকর্ড এবারেই ভাঙতে যাচ্ছে। আর এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে ৪০০ বছর বয়সী তাজমহলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
বৃষ্টিতে খুব খারাপ অবস্থা বলিউডের শহর মুম্বাইয়েরও। কোথাও ডুবেছে রাস্তা, কোথাও আবার হাবুডুবু খাচ্ছে গাড়ি। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এই শহরটাতেই দিন-রাত চলতো মানুষের উৎসব।
এদিকে বাংলাদেশ লাগোয়া আসামের অবস্থাও খুব খারাপ। থৈ থৈ পানিতে ভাসছে রাজ্যটি। ঘরবাড়ি ছাড়ার সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ত্রাণ শিবিরেও জায়গা হচ্ছে না। খাবার এবং সুপেয় পানির সংকটে দিশেহারা মানুষ। ব্রহ্মপুত্রের পানি এতোটাই বেড়েছে যে, ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বনের পশুদেরও।
মন্তব্য করুন :
